নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০২১
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, বিদিশা কিছুই না। সে কোনো বিষফোঁড়াও না কোনো ফোঁড়াও না কিছুই না। সে ক্রিয়েশন অব মিডিয়া। সে এরশাদ সাহেবের সাবেক স্ত্রী এবং তার ভেতরে চটক আছে। এই চটকগুলো দিয়ে তিনি এগুলো করছে। তার পেছনে কিছু লোক আছে যারা টাকা দিচ্ছে। এরকম না হলে সে কোনো ফ্যাক্টর?
এরিক এরশাদের নতুন কমিটি ঘোষণা, বিদিশার বিষয় এবং জাতীয় পার্টির বর্তমান অবস্থার নানা দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন জি এম কাদের।
জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টিতে অস্থিরতা তৈরি হয় নি। এই অস্থিরতা তৈরি করেছে মিডিয়া। এটা কোনো অস্থিরতা না। এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা আর কি। আমি সেদিন মিডিয়াকে বলেছি, এখানে একজন-দুইজন জুটেছে যারা বিভিন্নভাবে প্রচুর টাকা করেছে তারা ওই টাকাগুলোকে খরচ করছে এই ক্ষেত্রে। আর সেটা কি নিউজ হবে। তোমাদের এডিটরিয়াল আছে, মিডিয়ার একটা নীতি আছে সেগুলোর বাইরে এই ধরনের কোনো নিউজ হতে পারে। নিউজ করতে গেলে আইটেমটা তো নিউজেবল হতে হবে। এসব চটকদার নিউজ যখন সমস্ত মিডিয়াতে আসে তখন মানুষ বিভ্রান্ত হয় এবং দায়িত্বশীল মিডিয়ার কখনোই এটা করা উচিৎ না।
তিনি বলেন, বিদিশা কিছুই না। সে কোনো বিষফোঁড়াও না কোনো ফোঁড়াও না কিছুই না। সে ক্রিয়েশন অব মিডিয়া। সে এরশাদ সাহেবের সাবেক স্ত্রী এবং তার ভেতরে চটক আছে। এই চটকগুলো দিয়ে তিনি এগুলো করছে। তার পেছনে কিছু লোক আছে যারা টাকা দিচ্ছে। এরকম না হলে সে কোনো ফ্যাক্টর? সে কোনো রাজনীতি করে নি, কোনো দিন কোনো কিছুর মধ্যে ছিল না। রাজনীতির তার কোনো ইতিহাস নাই, বর্তমান নাই এই ভবিষ্যৎ ও নাই। তিনি এরশাদ সাহেবের কিছু দিনের স্ত্রী এবং এরশাদ সাহেব শেষপর্যন্ত তাকে অসম্মানজনকভাবে তালাক দিয়ে বের করে দিয়েছে এবং তাকে জেলে দিয়েছে প্রতারক হিসেবে। সেখানে বিদিশার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেখানে বাচ্চাটা তার কিনা এটা নিয়ে এরশাদ সাহেবের সন্দেহ হওয়াতেও মামলা হয়েছে। পরবর্তীকালে এটা যদিও ওইরকমভাবে প্রকাশ হয় নি কিন্তু ওই ধরনের ঘটনা তো আসছে যে, বাচ্চাটার বাবা কে বা ইত্যাদি বা মা কে? সে যে নিজে মা কিনা এগুলো নিয়ে তো কোর্টে প্রশ্ন আসছে। কেননা যেদিন সে বাচ্চার জন্মদিন বলছে সেদিন দেখা যাচ্ছে সে সিঙ্গাপুর ইত্যাদি নানা কথা আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে কথাগুলো জেনেছি। আমি এগুলো নিয়ে সব সময় একটা সন্দেহের মধ্যে থাকতাম। তবে এগুলো নিয়ে আমি মাথা ঘামাই নি। আমি এগুলো নিয়ে আগ্রহী নয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, রওশন এরশাদ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি আমাকে একবার না চার-পাঁচবার টেলিফোন করেছে। তিনি সাধারণত কাউকে টেলিফোন করেন না বা কারোর টেলিফোন ধরেনও না। কিন্তু এই ব্যাপারে তিনি আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রীকে দুই তিনবার ফোন করে বলেছেন যে, আমি এগুলোর মধ্যে নেই। আমার চেয়ারম্যান হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। আমি তাকেই পছন্দ করি এবং আমিই সব সময় চেষ্টা করেছি সে যেনো চেয়ারম্যান হয় এবং ভালোমতো কাজ করতে পারে। সে ছাড়া পার্টি চলবে না। এই কথাগুলো আমরা স্ত্রী আমাকে ম্যাসেজ করেছে। বাসায় ফিরে আমি রওশন এরশাদকে টেলিফোন করলাম। তখন তিনি টেলিফোন ধরে বললেন, এগুলো কে করলো কেন করলো আমি জানি না। আমি এতে নেই। বরং আমি তোমার ভাইকে বলেছিলাম, ওকে ছাড়া অন্য কাউকে দিলে দল চলবে না। এগুলো ওনার কথা। তিনি বলেছেন, দল ভালো চলছে এবং আমি মনে করি না এতে কোনো অসুবিধা আছে।
জাতীয় পার্টির অনেক নেতাই বিদিশার সাথে গোপনে যোগাযোগ করছে এ কথা আসছে এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই জিনিষটাকে একটা ধুম্রজাল সৃষ্টি, একটা সমস্যার সৃষ্টি এগুলো করছে মিডিয়া। আমাদের দেশের মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে আমি সব সময় সংগ্রাম করেছি। এখন থেকে নয়, সব সরকারের আমলে আমি সংগ্রাম করেছি। আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম তখনও আমি মিডিয়ার ওপরে হস্তক্ষেপ সব সময় অপছন্দ করতাম। এখন সেই মিডিয়াতে এসব আসছে। মিডিয়ার এগুলো বলা উচিৎ যে, কে আলাপ করছে, কখন আলাপ করেছে। যেমন, আমি সেদিন মিডিয়াকে বললাম, তোমাদের তো এটা প্রথম দরকার ছিল যাদের যাদের নাম এসেছে তারা এর মধ্যে আছে কিনা। বিশেষ করে রওশন এরশাদ। অন্য লোকের কথা আমি পাত্তা দেই না। যেহেতু তারা অতটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যক্টর না। রওশন এরশাদ আমাদের দলে আছেন এবং একটি সম্মানজনক পজিশনে আছেন। তিনি যদি আরেকটা দলের মধ্যে বা কোনো কিছুর মধ্যে জড়িত হন তাহলে এটা দলের জন্য একটা ইস্যু। এটা তো আগে ভেরিফাই করতে হবে যে তিনি আছেন কিনা। তারপরে তুমি এটা লিখবা। এটা তো পছন্দমতো লেখার জিনিষ না।
সংসদে সরকারের সমালোচনার বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, আমরা যেটা সংসদে করছি সেটা আমরা আগেও করেছি। আমি নেতা ছিলাম না। এবার আমি নেতা হিসেবে কাজ করেছি। আমাদের দলটাকে সংবিধানিকভাবে দায়িত্বই হচ্ছে সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া তাদের সমালোচনা করা। আমরা কিন্তু অফিসিয়ালি বিরোধী দল। এটা আমাদের জব ডেসক্রিপশনের মধ্যে পরে। এটা আমাদের দায়িত্বের অংশ। কাজেই এটা নতুন কোনো বিষয় না। এটা যদি কেউ না করে তাহলে বোঝা যাবে সে তার দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। এটার সাথে অন্য কিছুর সম্পর্ক নেই। আমার যতটুকু জ্ঞান আছে এবং আমি যতটুকু জানি প্রধানমন্ত্রী এটাকে অপছন্দ করেন না। তিনি এগুলো শুনতে চান এবং আমরা চাই যে তিনি এগুলাে শুনতে চাক। আমাদের কথা ভুল হতে পারে। ভুল হলে তিনি এটা দেখবে যে ভুল হয়েছে। যদি কোনো কথা সঠিক হয় তাও তো তাকে আমরা একটি গাইডলাইন দিলাম। আমরা কো তার সরকারের পতন চাচ্ছি না। আমরা তো নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাইরে কিছু করছি না। আমরা যে কারণে সংসদে আছি সেই কারণটা আমরা ফুলফিল করছি। সরকারের ভালো বলার জন্য প্রচুর লোক আছে কিন্তু খারাপ বলার জন্য বা সরকারের যেই জিনিষগুলো চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে সেই জিনিষগুলো বলার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের গাড়ি দেওয়া হয়েছে, জাতীয় সুযোগ সুবিধা রয়েছে, বেতন দেওয়া হচ্ছে এই জন্য। সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকারি দলের লোকরাও তার বিরুদ্ধে বলতে পারে।
তিনি বলেন, কেবিনেটের বাইরে যারা তারা সবাই বেসরকারি সদস্য। এটা আমাদের রুলস এন্ড প্রসিডিউর এ আছে। সরকারি দলেরও যারা ইলেকটেড হয়েছে কিন্তু সরকারের অংশ নয় তারাই বেসরকারি সদস্য। তখনই তো সরকারকে আমি জবাবদিহিতা করতে পারবো। সরকারে থাকবে ২০-৩০ জন তার বাইরে যে থাকবে ৩২০ জন তারা সকলে মিলে সরকারকে জবাবদিহিতা করবে। এটিই সংসদীয় গণতন্ত্র। এটা অনেকেই জানে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।